নিফাত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকার হযরত আলীর ছেলে। সে এবছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা অংশ নিয়ে ছিলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বাহাদুরপুর এলাকার বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় নিফাত। পরে দুপুর ২টার দিকে কে বা কারা তার বাবা হযরত আলীর মোবাইলে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায়ে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ময়মনসিংহে যেতে বলে অপহরণকারীরা। পরে পরিবারের সদস্যরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ময়মনসিংহে যায়। অপহরণকারীরা রাত ৮টা পর্যন্ত ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে ভেতরে নিফাতের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার দেন তার দাদি। পরে পরিবারের লোকজন মরদেহ উদ্ধার করে ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের চাচা অলি আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মুক্তিপণের ৩০ লাখ টাকা নিয়ে ময়মনসিংহে যেতে বলে অপহরণকারীরা। কিন্তু মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ময়মনসিংহে গেলে অপহরণকারীরা রাত ৮টা পর্যন্ত যোগাযোগ করে এরপর তারা মোবাইল বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে নিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমীর চন্দ্র সূত্রধর জানান, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএস/ওএইচ/