শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজার ও মৌচাক এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিবির নিয়ন্ত্রিত সাইমন শিল্পীগোষ্ঠীর তিন সদস্যসহ আটজনকে আটক করেছে র্যাব-২। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন— মাহমুদুর হাসান (২৭), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৬), আ. কাদের (২৮), মোরশেদুল ইসলাম (২২), সাইফুল ইসলাম মিঠু (২৯), দিদারুল ইসলাম (৩৫), আরিফুর রহমান (৩৪), মোতাহের হোসেন (২১)।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, সাইবার জগতে একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এসব গুজব নজরদারিতে র্যাব সাইবার মনিটরিং সেল তৎপর রয়েছে। ওই গোষ্ঠী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে গুজব ছড়ানোর দায়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মুফতি মাহমুদ খান আরো জানান, গুজবের দায়ে গতরাতে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা নিজের ইচ্ছেমতো ডকুমেন্টরির আকারে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে এবং প্যারোডি গান তৈরি করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউবে প্রচার করছিল। আটকদের মধ্যে সাইমন শিল্পীগোষ্ঠীর তিনজন, বাকি পাঁচজন এসব কন্টেন্ট তৈরিতে বিভিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, তারা নির্বাচন ঘিরে একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। প্রজেক্টের আওতায় অন্তত ১৫০টি ওয়েবসাইট তৈরি করা। এরপর বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করে সেসব সাইট, ফেসবুক ও পেইজে প্রচার করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
তিনি বলেন, এসব কাজের জন্য একটি গ্রুপ থেকে ৪৭ লাখ টাকার অর্থায়ন পেয়েছে ওই গোষ্ঠী। তবে অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো কিছু ব্যক্তির নাম পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, তারা বিভিন্ন স্টুডিও ভাড়া নিয়ে এসব কনটেন্ট তৈরি করতো। আটকদের মধ্যে ৫ জনই একটি স্বনামধন্য কলেজের স্টুডেন্ট। তবে তাদের সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
পিএম/এমজেএফ