শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সড়কে দেখা যায়, রাজধানী স্বাভাবিক সময়ের প্রায় উল্টো। ফার্মগেটে দৌড়ে বাসে ওঠার তাগিদ নেই কোনো যাত্রীর, নেই দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের ভিড়।
তবে ঈদ যাত্রার মতো ব্যস্ততা দেখা যায় বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেলস্টেশনে। এদিকে কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন, সদরঘাট, সায়েদাবাদ, মহাখালী এবং গাবতলীর বাস স্টপেজ গুলোতে ঘরমুখী মানুষদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকেই শুরু হওয়া রাজধানী ছাড়ার মিছিল চলবে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ রাজধানীবাসী এবার ভোটের কারণে ঢাকা ছাড়ছেন।
এরপরেও রাজধানীতে যারা রয়ে গেছেন রাজপথে তাদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। একান্ত প্রয়োজন, জীবিকার তাগিদ অথবা পেশাগত দায়িত্ব পালনে অফিসগামী মানুষের উপস্থিতিই অনেকটাই কম। ইতোমধ্যে কার্যকর হওয়া মোটরসাইকেলের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি গণপরিবহন এবং ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই কম সড়কে। তবে এতে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে না ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের।
রাজধানীর একটি তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক কাওসার হোসেন বলেন, আজকের দিনটা অফিস বন্ধ দিলে ভালো হতো। সড়কে বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের থেকে কম। তবুও যখন দেয়নি অফিসে তো যাওয়া লাগবেই। আর কিছু শিপমেন্টও আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে না। যে দুই একটা বাস আসছে সেগুলোর বেশিরভাগই সিট ফাঁকাই আছে।
ফাঁকা ঢাকায় গাড়ি চালিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন গণপরিহন চালকেরা।
মিরপুর ১২ থেকে মতিঝিলগামী বিকল্প পরিবহনের এক চালক মজিদ মিয়া বলেন, অন্যান্য সময় দিনে দুই ট্রিপও ঠিকভাবে মারতে পারি না। আইজকা অলরেডি (ইতিমধ্যে) বিকেলের আগেই দুইটা ট্রিপ মাইরা ফালাইছি। রাস্তায় মোটরসাইকেল নাই। ঝামেলা কম।
এদিকে অন্যান্য সময়ের থেকে কাজের চাপ কম ট্রাফিক সার্জেন্টদের জন্যও।
মিরপুর ১০ নম্বর চত্বরে দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, সড়কে গাড়ির চাপ অনেক কম। অন্যান্য সময়ের মতো না। তবুও নির্বাচনের কারণে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
ফাঁকা ঢাকায় অনেকটা অলস সময় পার করছেন শপিং সেন্টার এবং বিপণি বিতানের ব্যবসায়ীরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত কিছু ব্যতিক্রম সাপেক্ষে সবধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এসএইচএস/আরআইএস/