গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
এই নির্বাচনে মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এই দিবসটির আগেই নতুন সরকার গঠন করা হবে। নতুন সরকার গঠন করেই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করবে।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আশা করছি ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ের ওই নেতারা জানান, মন্ত্রিপরিষদের শপথ কবে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দু’একদিনের মধ্যেই শপথের বিষয়ে জানা যাবে। তবে আগামী ৫ অথবা ৬ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিতে পারেন বলে ওই নীতি-নির্ধারকরা জানান।
আবার আওয়ামী লীগের অপর একটি সূত্র জানায় আগামী ৮ জানুয়ারিও নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হতে পারে। তবে ওই নেতারা নির্দিষ্ট করে কিছু বলছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে তারিখ বলা যাচ্ছে। এমপিদের শপথের পর মন্ত্রিসভার শপথের তারিখও জানা যাবে। তবে ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন সরকারের শপথ হবে।
আগামী ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন এমপিদের গ্রেজেড প্রকাশ করে তাদের নাম-ঠিকানা ছাপানোর জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের শপথের পর সংখ্যাগরিষ্ট দলকে সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ জানাবেন। সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, আগামী ৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ওই নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, একাদশ সংসদেরও জাতীয় পার্টি (জাপা) বিরোধীদল হলেও বর্তমান সরকারের মতো নতুন সরকারেরও এই দলটি থাকছে। এছাড়া মহাজোটগতভাবে যে দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো এবং বিজয় লাভ করেছে সে দলগুলোকেও মন্ত্রিসভায় রাখা হবে। দশম জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাতীয়পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ। এর বাইরে মহাজোটে আছে তরিকত ফেডারেশন। এবারের নির্বাচনে জোটে এসেছে বিকল্প ধারা।
আবার নতুন এ মন্ত্রিসভায় বর্তমান মন্ত্রীদের অনেকেই বাদ পড়বেন। জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতা যারা বর্তমান মন্ত্রিসভায় রয়েছেন তারা নতুন মন্ত্রিসভায়ও থাকছেন। এছাড়া নতুন মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন ও তরুণ মুখ স্থান পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৯
এসকে/এএটি