মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদফতর থেকে এক বিবৃতিতে এ প্রশংসা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদফতরের উপমুখপাত্র রবার্ট প্যালাদিনো নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৪ সালে ভোট বর্জনের পর গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ১১তম সংসদীয় নির্বাচনে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ও লাখ লাখ ভোটারের অংশগ্রহণে এই নির্বাচনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী, রফতানির পণ্যের জন্য একক বাজার, এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের একটি বৃহৎ সম্প্রদায়ের স্থান। এই বিবেচনায়, নির্বাচনের আগে হয়রানি, ভয় এবং সহিংসতার প্রতিবেদনগুলোকে আমলে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনেক বিরোধীদলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ, সমাবেশ এবং মুক্তভাবে প্রচারাভিযানের পক্ষে কঠিন করেও তোলা হয়। নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও কিছু লোককে ভোট থেকে বিরত রাখা হয়, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসকে কমিয়ে দেয়। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি। অনিয়ম বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ করার অনুরোধ জানাই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
টিআর/এএটি