গত ৩১ ডিসেম্বর (সোমবার) মামলা দায়েরের পর থেকে বৃহস্পতিবার (বৃহস্পতিবার) ভোর পর্যন্ত মোট পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
** সুবর্ণচরে গণধর্ষণ: ঘটনাস্থলে ১০ জন থাকলেও এজাহারে ৯
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর খোঁজখবর নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সেলিনা আক্তার।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে অভিযান চালিয়ে মূলহোতা চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য রুহুল আমিনকে সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর ওয়াপদা এলাকার একটি খামার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. বেচুকে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের খাজুরিয়া এলাকার একটি ইনভাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া বাকি তিন আসামি হলেন- মো. স্বপন, মো. সোহেল ও বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু।
মামলার এজাহারে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- মো. সোহেল (৩৫), মো. হানিফ (৩০), মো. স্বপন (৩৫), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বেচু (২৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশারফ (৩৫) ও ছালা উদ্দিনের (৩৫)।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আবুল ফয়েজ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার ‘ইন্ধনদাতা’সহ মোট পাঁচজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দাসহ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিরোধী একটি দলকে ভোট দেওয়ায় বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধর্ষিতার স্বামী অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত নয় জনকে আসামি করে চর জব্বার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
জিপি