সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে গত তিন বছরে দরপত্রের মাধ্যমে ওই স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হয়। অতীতে এ খাত থেকে ১০ বছরেও সমপরিমাণ রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রটি আরও জানায়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক হিসেবে বেলাল হোসেন সরকার যোগদান করার পর বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় আসে নতুনত্ব। তিনি সব ধরনের সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দেন। রেল প্রশাসনের সহযোগিতায় টেন্ডারবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হন তিনি। শুরু হয় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান। ফলশ্রুতিতে রেকর্ড পরিমাণ আয় করতে সক্ষম হয় রেলওয়ে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার এইচএম ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, অতীতে দরপত্রে অংশ নেওয়া জটিল ছিল। বর্তমানে আমরা নির্বিঘ্নে সাড়া দিতে পারছি। টেন্ডারবাজি না থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে সৈয়দপুর, ঈশ্বরদী, সান্তাহার, রাজবাড়ি, খুলনা ও লালমনিরহাট থেকে মালামাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা মিলছে। দরপত্রে প্রতি মেট্রিক টন ভাঙাড়ি লোহার মূল্য ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে রেলের আয় শতকোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সব ক্ষেত্রে যখন লোকসান আর নৈরাজ্য দেখছিলাম তখন আমরা চেষ্টা করেছি এ খাত থেকে রেলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। মাত্র তিন বছরে আমরা পরিত্যক্ত জঞ্জাল অর্থাৎ পরিত্যক্ত লোহা বেচে সেঞ্চুরি করেছি। খুব ভালো লাগছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বাংলানিউজকে বলেন, সিওএস মহোদয় স্ক্র্যাপ বিক্রিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এ সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে তাকে। ভবিষ্যতে এ খাত থেকে আরও আয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এনটি