রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে জয়নগর বাজারে এসে প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এসময় ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভীনের পদত্যাগ দাবি করেন।
প্রতিবাদ সভায় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালনা কমিটি করে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে কলেজ পরিচালনা করছেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী উপাধ্যক্ষ আফরোজা পারভীন। এলাকার কয়েকটি বিত্তশালী ও প্রভাবশালী পরিবারের সহায়তায় কলেজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন অধ্যক্ষ। কলেজে নিয়মবহির্ভূত ফি আদায় করে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মিলে টাকা আত্মসাৎ করছেন।
শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে তাদের বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্ররা অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয় এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য করা হচ্ছে। যার ফলে কলেজের চেইন অব কমান্ড ভেঙে ফলাফল দিনদিন খারাপ হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
প্রতিষ্ঠাতা মঈনুল হক প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং তিনি সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- কলেজের ছাত্র রবিন, আফসানা বেগম, সাবিনা আক্তার প্রমুখ।
জানা যায়, গত শনিবার কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অকৃতকার্য দুই ছাত্রী শাখাইতি গ্রামের তাসলিমা খানম ও মাগুরা গ্রামের নাঈমা আক্তার নির্বাচনী পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার জন্য তার পা ধরে অনুরোধ জানান। অধ্যক্ষ তাদের প্রথমে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। পরে কোদালের হাতল দিয়ে বেধড়ক পেটান।
এ ব্যাপারে জানতে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মোবাইলে কল করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলেন, তিনি বাইরে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ