নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের একথা জানান।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, দুই সিটির ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম ছাড়াও ৫০ শতাংশ বেশি ইভিএম প্রস্তুত থাকবে।
তিনি বলেন, ইভিএমে কোনো সমম্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইভিএমে ভোটে অস্বচ্ছতার কিছু নেই।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি, মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। আর সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি, সম্ভাব্য ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৬টি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করার হবে। এজন্য একটি করে অতিরিক্তসহ মোট ৩০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ইইউডি/এএ