এদিকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা। সকাল ও রাতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও রোববার (২৯ ডিসেম্বর) তা কমে চারের ঘরে নেমে আসে। রোববার চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে বলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের পূর্বভাস রয়েছে।
এদিকে সকালের শুরুতেই সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তেমন উত্তাপ ছিল না। দীর্ঘদিন পর সূর্যের ঝলমলে রোদে ক্ষণিকের স্বস্তি ফিরে আসে জনমনে। রোদের আলোতে বসে উষ্ণতা নিতে দেখা যায় শীতার্ত মানুষদের। শৈত্যপ্রবাহের দাপটে দিনের বেলা অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বেশিরভাগ রোগীই শিশু ও বৃদ্ধ। প্রতিদিন শতাধিক রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। গুরুতর অসুস্থরাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৩০-৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় ৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আরও নিচে নেমে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছায়। এদিকে একই দিন বিকেল ৩টায় সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ