এ ঘটনায় পুলিশ রাশেদ খান কালু মিয়া নামে এক জনকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেড়িয়ারা গ্রামের ষষ্ঠিবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই এলাকার চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের জন্য কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন এবং বিদ্যালয়ের জুনিয়র ছাত্ররা একটি চায়ের দোকানে বসেছিল। এসময় সিনিয়র গ্রুপ এসে তাদের মারধর করে দোকান থেকে বের করে দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জুনিয়রদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের ছেলে মেসবাহ উদ্দিনও ছিল। এ ঘটনা জুনিয়র গ্রুপের ছেলেরা প্রধান শিক্ষককে জানালে সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে সিনিয়র গ্রুপের ছেলেরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, সিনিয়র গ্রুপের ছেলের মধ্যে রেদওয়ান হোসেন সেন্টুর নেতৃত্বে রাশেদ খান কালু, সাগর, নুরুল ইসলামসহ প্রায় ১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মেসবাহ উদ্দিনকে হাসানকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মেসবাহ উদ্দিন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখার সময় সিনিয়র ও জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে হামলার ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নিহত হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাশেদ খান কালুকে আটক করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
আরএ