ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের প্রথম নারী গাড়িচালক ছালেহা বেগম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
দেশের প্রথম নারী গাড়িচালক ছালেহা বেগম

ঢাকা: বাংলাদেশে ১৯৮৭ সালে প্রথম নারী গাড়িচালক হিসেবে স্বীকৃতি পান ছালেহা বেগম। তাকে গাড়ি চালানো শিখিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ছালেহা এখন ইউনিসেফ বাংলাদেশে কর্মরত আছেন। তারপর অনেক নারী কর্মীদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গাড়ি চালানো শিখিয়েছে। এখনও এরকম প্রশিক্ষণ চলছে। 

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘ড্রাইভিং পেশায় নারীদের সফলতা: নিরাপদ সড়ক’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান বক্তারা।  

সেমিনারে পেশাদার-অপেশাদার নারী গাড়িচালক ও অন্য পেশার নারীরা উপস্থিত ছিলেন।

যারা পেশাদার নারী গাড়িচালক তারা নিজেদের পেশাদারির তিক্ত অভিজ্ঞতা ও এ পেশায় কীভাবে জড়িত হলেন তা বর্ণনা করেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কাঞ্চন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিআরটির তথ্য অনুসারে দেশে মোট গাড়ির সংখ্যা ৪২ লাখ প্লাস। এর মধ্যে কয়েকভাবে ভাগ করে বলা যায় হালকা, ভারী, সাধারণ ও অন্য গাড়ি হচ্ছে প্রায় ৩৭ লাখ। ৩ থেকে ৫ লাখ গাড়ি হচ্ছে ট্রাক ও অন্য ভারীমাল বহকারী পরিবহন। প্রায় সবধরনের পরিবহনের চালক ও হেলপাররা সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ছে। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ লোক আইন মানে না। নিজেদের ইচ্ছামতো গাড়ি চালায়। ইতোমধ্যে সড়ক আইন প্রণয়ন করেছে সরকার, কিন্তু এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সড়ক আইনের প্রতিফলন না হলে আমরা আওয়াজ তুলে আন্দোলনে যাবো। কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা যায় তা চেষ্টা করবো।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান, এফএসবির পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, নিরাপদ সড়ক চাই-এর সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পরিচালক তপন কুমার দাস।  
 
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সাফল্য পাওয়া মামুনী আক্তার বলেন, আমি অনার্স পড়ুয়া একজন ছাত্রী ছিলাম। প্রাইমারিতে চাকরি হয়নি টাকা না থাকার কারণে। তাই গাড়ি চালানো শিখে চাকরি করছি। এখনও নারী কর্মীদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গাড়ি চালানো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাদের আওয়াজ হচ্ছে- ‘জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়। আমরা সড়ক দুর্ঘটনা চাই না, স্বচ্ছভাবে গাড়ি চালাতে চাই।  

ড. মিজানুর রহমান বলেন, সারাবিশ্বে মোট গাড়িচালক হচ্ছে পুরুষ ১ দশমিক ১৩ ও নারী ১ দশমিক ১১ বিলিয়ন। গাড়ি চালানো ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম অপরাধী। এ পেশায় নারীরা বর্তমানে আগ্রহী হচ্ছে এবং সাফল্যও হচ্ছে। আমাদের দেশে পেশাগত কাজ হিসেবে নারী-পুরুষ সবাই গাড়ি চালানো কাজ করছে। তবে তাদের দায়িত্ব এবং কাজের স্বচ্ছতা পরিপূর্ণতা হিসেবে তারা রাস্তার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা অনুসারে গাড়ির স্পিড সেভ করে চালাতে হবে। তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমএএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।