চিলাহাটি-রাজশাহী অথবা চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে ট্রেনযাত্রীদের কাছে রাণী আপা এক পরিচিত নাম। রেলপথের যাত্রীরা কেউ তাকে খালা আবার কেউ আপা বলে সম্বোধন করেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার বিকেলে কথা হয় আলিয়া জাহানের সঙ্গে। তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি শেষ ডিউটি করছিলেন।
তিনি জানান, ১৯৮৪ সালের ১৩ জুলাই কনিষ্ঠ টিটিই হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। বাবা আলিপ উদ্দিনও ছিলেন রেলওয়ে কর্মচারী। স্বামী শাকিল আলম বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার সান্তাহার বাজারে একজন ব্যবসায়ী। দুই মেয়ে রয়েছে আলিয়ার। বড় মেয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আর ছোট মেয়ে লেখাপড়া করছেন সান্তাহার কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে। একই কলেজ থেকে আলিয়া স্নাতক পাশ করেন। সান্তাহার হাউজিং কলোনিতে বসবাস তাদের।
আলিয়া জাহানের অবসরের খবর পেয়ে ঈশ্বরদী হেড কোয়ার্টারের জুনিয়র টিটিই আব্দুল আলিম বলেন, রাণী আপা ছিলেন আমাদের মায়ের মত। নারী পুরুষের পার্থক্য বুঝিনি তার কাছে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিনা টিকিটের যাত্রীরা কখনই রেহায় পায়নি তার হাত থেকে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন উদার। অনেক সময় দেখেছি শিক্ষার্থীদের তিনি খাবার কিনে দিচ্ছেন। মাথায় স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ জানান, আলিয়া জাহানের অবসর রেল অঙ্গনে এক প্রকার আবেগ সৃষ্টি করেছে। তার বিদায় আমরা স্মরণীয় রাখতে চাই। খুব শিগগিরি রেল ভবনে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
আরএ