ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কাজের স্বীকৃতি চান মহেশখালীর ওসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
কাজের স্বীকৃতি চান মহেশখালীর ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর

কক্সবাজার: বিগত বছরে দেশের ক্রাইম জোন খ্যাত কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগরদের আত্মসমর্পণসহ অস্ত্র জমা দেওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে ছিল আলোচিত।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চালিয়েছেন একাধিক অপারেশন। ফলে একসময় জলদস্যুরা বাধ্য হয় আত্মসমর্পণে।

এছাড়া অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলোতেও ওসি প্রভাষ চন্দ্রের নেতৃত্বে পুলিশের একের পর এক অভিযানে অস্ত্রের কারিগররা কারখানা বন্ধ ও অস্ত্র জমা দিতে বাধ্য হয়।

গত ২৩ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়ায় পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রের কারিগরসহ ৯৬ জন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে। এ সময় তারা ২০৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৩০টি গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম জমা দেয়। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, এমপি, ডিআইজি ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।

এসব ডাকাত ও অস্ত্র কারিগরদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে মহেশখালীর দুর্গম পাহাড় ও বঙ্গোপসাগরে চিরুনি অভিযান চালায় থানা পুলিশ। কিন্তু এবার পুলিশের সাহসী কার্যক্রমের জন্য যেসব সাহসী পুলিশদের পুরস্কৃত করার জন্য চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই তালিকায় নেই মহেশখালীর ওসি’র নাম।

অথচ এমন থানার ওসি’র ভাগ্যেও পুরস্কার জুটেছে, যার থানায় মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মহেশখালীতে জলদস্যু ও অস্ত্রকারিগরের আত্মসমর্পণের ঘটনায় সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে পুলিশ বিভাগ।

এ অবস্থায় ওসি প্রভাষ চন্দ্র বিষয়টি অবহিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিজের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য বিপিএম পুরস্কারের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আবেদন জানিয়েছেন।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এসবি/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।