ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গির আলম খান

বরিশাল: মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ঝালকাঠি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহার ও ভূমিগ্রাসীদের নির্যাতন থেকে পরিত্রান পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ঝালকাঠি সদর আসনের সাংসদ আমির হোসেন আমু এবং আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য করেন ভূক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গির আলম খান।

 

তিনি বলেন, ঝালকাঠি সদর দক্ষিণ পিপলিতা এলাকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলার শিকার হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। দেশের মাটি রক্ষায় জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা যু্দ্ধে অংশগ্রহণ করলেও, এখন বিনা অপরাধে মিথ্যা-বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

এলাকার একটি চিহ্নিত মহল আমার দলিলপত্র-রেকর্ডমূলে ভোগ দখলীয় বৈধ সম্পত্তি গ্রাস করতে গিয়ে তিন দফা মামলা দিলেও আদালতের ন্যায়বিচারে পরাজিত হয়েছে। তারা এখন আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি মামলয় জড়িয়ে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে।  স্থানীয় বাসিন্দা খালেক ডাকুয়ার নেতৃত্বাধীন উক্ত প্রভাবশালী চক্রটি আমার জমিতে জোর-জবরদস্তিতে নির্মিত একটি ঘর নিজেরাই ১১ জানুয়ারি রাতে ভাঙচুর করে এবং ঝালকাঠি পুলিশের এডিশনাল এসপি (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসানের প্রত্যক্ষ মদদে ওসি খলিলুর রহমান তদন্ত না করে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা রেকর্ড করেন। যেখানে প্রধান আসামী আমাকে করা হয় এবং আমার ছোট ভাই দুলাল খান ও চাচাতো ভাই জাহিদ হাওলাদারকে গ্রেফতারও করে। যার ফলে বাড়িঘর ছেড়ে আমি পরিবারসহ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

এদিকে এএসপি সদর সার্কেল মাহমুদ হাসানের চিহ্নিত পেইড দালালের মাধ্যমে খালেক ডাকুয়াকে জমি ছেড়ে দিতে অথবা আমার প্রাপ্য জমির অর্ধেক তার নামে লিখে দিতে নির্দেশ দেয়।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, এএসপি সদর সার্কেল মাহমুদ হাসান ২০১৫ থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ ঝালকাঠিতে কর্তব্যরত এবং তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। তিনি আদালতে বিচারাধীন জায়গা-জমির মামলাও টাকার বিনিময়ে নামমাত্র সালিশির নামে তার পক্ষকে প্রদান করেন।

তিনি বলেন, যদি উক্ত ভাঙচুরের ঘটনায় আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত কিংবা বাজারের কোনো লোক আমাদের সংশ্লিষ্টতার কথা যদি বলতে পারে তাহলে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আপনাদের সম্মুখে ঘোষণা করছি, আমি যে কোনো বিচার মাথা পেতে নেবো। এ ঘটনার পর আমি ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত জানিয়ে দেখা করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এমএস/ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।