ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জিয়া-মোস্তাকের মরণোত্তর বিচারে সংসদে বিল পাসের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
জিয়া-মোস্তাকের মরণোত্তর বিচারে সংসদে বিল পাসের দাবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও মোস্তাককে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী করে তাদের মরণোত্তর বিচারের জন্য সংসদে বিল পাসের দাবি জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ দাবি জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করুন। আর বঙ্গবন্ধুর মূল খুনি যারা মাস্টার মাইন, ওই মোস্তাক আর জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের জন্য সংসদে বিল পাস করার জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, কপালের কলঙ্কের দাগ মুছে ফেলতে চাই, আমাদেরকে কলঙ্কমুক্ত করুন। খুনি জিয়ার মুখোশ, বঙ্গবন্ধুর খুনির ইতিহাস এই প্রজন্ম জানুক, ভবিষতের বাংলাদেশ জানুক, আমার সন্তানেরা জানুক, এই দায়মুক্ত হতে চাই। শহীদ জিয়াউর রহমান নামে যার কথা বলা হয় উনি কার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন?  শহীদ জিয়াউর রহমানকে ১৯৭১ সালে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা চিনতেন কিনা?

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম কিভাবে হল? ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টার মাইন খুনি মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে বসে অবৈধ শাসক সামরিক জান্তা একসাথে রাষ্ট্রপতি। হ্যাঁ না ভোটে অবৈধভাবে দেশের সকল অর্জন ধ্বংস করে দিয়ে বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। মানুষ ভুলে যায় নাই।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী টাকা আত্মসাৎ করে জেলে যায় নাই। একমাত্র কুলঙ্গারের ইতিহাস একজন প্রধানমন্ত্রী তৈরি করেছে তার নাম বেগম জিয়া। যিনি একটা দলের প্রধান, যিনি একটা দলের চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এতিমের টাকা আত্মাসাৎ করে যে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কারাভোগী আসামি তাকে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি কিভাবে করে।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।