ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্বশুরবাড়ির আলোকসজ্জা দেখতে গিয়ে প্রাণ গেলো পিয়াশার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
শ্বশুরবাড়ির আলোকসজ্জা দেখতে গিয়ে প্রাণ গেলো পিয়াশার! পিয়াশা, ইয়াশা ও তিথী।

যশোর: দেড় বছর আগে যশোর শহরের লোন অফিসপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জ্যোতির (৩২) সঙ্গে ডা. তনিমা ইয়াসমিন পিয়াশার (২৫) বিয়ে হয়। চলতি মাসের ২৩ তারিখে বউভাতের অনুষ্ঠান নিয়ে চলছিলো দুই বাড়িতে জাকালো আয়োজন। কিন্তু তার আগেই প্রাইভেটকার দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো পিয়াশার প্রাণ!

প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন তার স্বামী শফিকুল। দুর্ঘটনায় তিনিও আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় পিয়াশার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন তার বড়বোন তানজিলা ইয়াসমিন ইয়াশা (৩০) ও খালাতো ভাই মনজুর হোসেনের স্ত্রী আফরোজা তাবাসসুম তিথী (৩৫)।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিনগত রাতে শ্বশুরবাড়ির আলোকসজ্জা দেখতে বের হয়েছিলেন তারা। পরে রাত ১টার দিকে শহরের বিমান অফিস মোড়ে প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় পিয়াশার স্বামী শফিকুল, নিহত তিথীর সন্তান মানিজুর মাশিয়াব (৪), তাদের আত্মীয় হৃদয় (২৫) ও শাহিন (৩৫)।

হতাহতদের স্বজন রোহান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দেড় বছর আগে পিয়াশার সঙ্গে শফিকুল ইসলাম জ্যোতির বিয়ে হয়। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়াশাকে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিলো। পরিবারের পক্ষ থেকে এর প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছিলো। সেজন্য শফিকুলের বাড়িতে আলোকসজ্জা করা হয়। পিয়াশা রাতে ফোন করে জ্যোতিকে বলেন, তার বাড়িতে করা আলোকসজ্জা দেখবেন এবং শহর ঘুরবেন। এ কারণে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্যোতি তার নিজস্ব প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন। গাড়িতে পিয়াশার বোন তানজিলা, খালাতো ভাইয়ের স্ত্রী আফরোজা তাবাসসুম তিথী, তার মেয়ে মানিজুর এবং জ্যোতির দুই বন্ধু হৃদয় ও শাহিন ছিলেন। তারা রাতে আলোকসজ্জা দেখেন। পরে শহরে তাদের স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।

ফেরার পথে রাত ১টার দিকে যশোর শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মসিয়ূর রহমান সড়কের (আকিজের গলি) পাশে থাকা একটি বিল্ডিংয়ের প্রাচীর ও বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে আঘাত করে প্রাইভেটকারটি। এতে ঘটনাস্থলেই পিয়াশা, ইয়াশা ও তিথীর মৃত্যু হয়। গাড়িতে থাকা অন্যরা কমবেশি আহত হন।

তিনি আরও বলেন, পিয়াশা এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করে যশোর আদ্-দ্বীন হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. কাজল কান্তি মল্লিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।