ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাঘের শুরুতেই বৃষ্টিতে ভিজলো রাজশাহী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
মাঘের শুরুতেই বৃষ্টিতে ভিজলো রাজশাহী

রাজশাহী: শীতার্ত প্রকৃতিতে মাঘের অভিষেক ঘটেছে সদ্যই। শিশির ভেজা শীতলতা ছড়িয়ে এরইমধ্যে বিদায় নিয়েছে পৌষ। বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে চলছে মাঘের প্রথম সপ্তাহ। আর এরইমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পদ্মাপাড়ের শহর রাজশাহীতে।

মাঘের শেষে বৃষ্টি হলে ফসলের উপকার হয় ও দেশের কল্যাণ হয়। তবে শুরুর বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হবে না, বলছে কৃষি বিভাগ।

এদিকে, টানা শৈত্যপ্রবাহ শেষে রাজশাহীর তাপমাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। সর্বশেষ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে ছিল গত ১৫ জানুয়ারি। ওইদিন রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

তবে সকাল থেকে কুয়াশা ও মেঘের কারণে রাজশাহীতে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এর ওপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহীতে একপশলা বৃষ্টি হয়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণেই এদিন শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে উত্তরেরএ জনপদে। বৃষ্টির কারণে সাপ্তাহিক ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে ঘরে থেকে বেরিয়েই দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ।  

সকালে যাদের স্কুল ছুটি হয়, তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বেশি। ছুটি শেষে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ছোট্ট শিশু ও তাদের অভিভাবকরা ভিজেছেন শীতের বৃষ্টিতে। বৃষ্টির কারণে সড়কে রিকশা চলাচল হঠাৎ করেই কমে আসে। বৃষ্টির পানিতে মহানগরীর শালবাগান, নিউমার্কেট ও মাস্টারপাড়ার কাঁচা বাজার কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সকাল ১০টা ২৫ মিনিট থেকে রাজশাহীতে বৃষ্টি শুরু হয়। একপশলা বৃষ্টিতে ভিজে পুরো শহর। এ সময় রাজশাহীতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বেলা ১১টার পর আর বৃষ্টি হয়নি। তবে এখনও আকাশ মেঘলা রয়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মাঘের শেষে বৃষ্টি বরাবরই কৃষিজাত ফসলের জন্য আশির্বাদ। তবে কেবলমাত্র মাঘ মাস শুরু হয়েছে। এ সময় রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এটিও খারাপ বা ক্ষতিকর নয় ফসলের জন্য। আরও ১/২ দিন এমন বৃষ্টি হলেও ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০ 
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।