ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৮ দিনে সৌদি থেকে ফিরেছেন ১৮৩৪ জন শ্রমিক

গৌতম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
১৮ দিনে সৌদি থেকে ফিরেছেন ১৮৩৪ জন শ্রমিক

ঢাকা: চলতি বছরের ১৮ দিনে সৌদি আরব থেকে এক হাজার ৮৩৪ জন বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে এক দিনেই ফেরত আসতে হয়েছে ২২৪ জন শ্রমিককে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৪ ফ্লাইটযোগে ১০৮ কর্মী দেশে ফেরন। এর আগে এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের এসভি ৮০৮ ফ্লাইটযোগে জেদ্দা থেকে ফেরেন আরো ১১৬ জন।

এরা সবাই সৌদি যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই ফেরত এসেছেন। ফেরত আসা এসব শ্রমিকরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বিমান বন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৬৪ হাজার ৬৩৮ কর্মী বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে ২৫ হাজার ৭৮৯ জন, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৩৮৯ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ছয় হাজার ১১৭ জন, ওমান থেকে ৭ হাজার ৩৬৬ জন, মালদ্বীপ থেকে দুই হাজার ৫২৫ জন, কাতার থেকে দুই হাজার ১২ জন, বাহরাইন থেকে এক হাজার ৪৪৮ জন ও কুয়েত থেকে ৪৭৯ জন। শূন্য হাতে ফেরা এসব শ্রমিকদের পরিচয় ‘ডিপোর্টি’। প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বরাবরের মতো ফেরত আসা শ্রমিকদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়।

ফেরত আসা কর্মীরা জানান, তাদের বেশিরভাগই তিন থেকে পাঁচ মাস আগে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরব গিয়েছিলেন বিভিন্ন ভিসা নিয়ে। মালিক তাদের ঠিকমতো বেতন না দেওয়ায় অনেকেই নির্ধারিত কাজ ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ নেন। কিন্তু সেখানে গিয়েও তাদের রক্ষা নেই। কর্মরত অবস্থায় পুলিশ তাদেরকে আটক করে। অনেকের কাছে আকামা থাকার পরও তাদের দেশে ফেরত আসতে হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, দেশে ফেরত আসা কর্মীরা বরাবরেই মতো অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন স্বপ্ন দেখিয়েছিল দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু সৌদি আরবে গিয়ে তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। ফেরত আসাদের বর্ণনা প্রায় একইরকম। কয়েক মাস আগে গিয়েও ফেরত আসা লোক রয়েছে।

তিনি বলেন, ফেরত আসা প্রবাসীদের আমরা শুধু বিমানবন্দরে সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি না, তারা যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য কাউন্সিলিং, দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং আর্থিকভাবেও পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবাই মিলে কাজটি করতে হবে। পাশাপাশি এভাবে যেন কাউকে শূন্য হাতে ফিরতে না হয় সেজন্য রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব নিতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।