ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরাই কামালকে হত্যা করে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরাই কামালকে হত্যা করে 

টাঙ্গাইল: যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা ঈশ্বরদীর কামাল হোসেনকে কৌশলে প্রাইভেটকারে তুলে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মরদেহ মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে গত রোববার দুইজন এবং সোমবার একজন টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি)টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর গ্রামের কামাল হোসেনের মরদেহ গত ৭ নভেম্বর দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার বাইমাইল এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় কামাল হোসেনের হাত ও চোখ বাঁধা এবং গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।  

পকেটে পাওয়া একটি চিরকুট ও মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তার পরিচয় পাওয়া যায়। ঘটনার পরদিন কামাল হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে কাউছার আহেমদ (৩৫) ও কাফরুল থেকে মাঈনুল ইসলাম (৩০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের দুজনের বাড়িই বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়।

মাঈনুল ইসলাম কাফরুল থানা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন।  

রোববার তাদের টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।  

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি মামুনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। তাকে সোমবার টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হলে তিনিও জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তিনজনকেই কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছেন আদালত।

তাদের দেওয়া জবানবন্দির উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে গ্রেফতার তিনজন এবং তাদের অপর সহযোগী দেলোয়ার একটি প্রাইভেটকারের যাত্রী হিসেবে অপর যাত্রীর জন্য ঘটনার দিন গাজীপুরের চন্দ্রা মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। এসময় কামাল হোসেন যাত্রী হিসেবে ওই প্রাইভেটকারে ওঠেন। গাড়ি ছাড়ার পরেই তারা কামাল হোসেনের মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। তখন তারা কামাল হোসেনকে মারধর করে এবং গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যান। তারা সপ্তাহে অন্তত দুইদিন মহাসড়কে ছিনতাই করতেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত দেলোয়ার এখনো গ্রেফতার হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।