ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জীবনমুখী শিক্ষার ওপর সিপিডির গুরুত্বারোপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
জীবনমুখী শিক্ষার ওপর সিপিডির গুরুত্বারোপ সিপিডির সংলাপে অতিথিরা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি সার্টিফিকেট কেন্দ্রীক। এ শিক্ষাপদ্ধতি বেকারত্ব তৈরি করছে। এর থেকে বের হতে বাস্তব ও জীবনমুখী শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর এক হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত 'প্রান্তিক যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকারি পরিষেবার ভূমিকা' শীর্ষক সংলাপে একথা বলেন বক্তারা।

সংলাপে বক্তারা বলেন, কোন খাতে কতো গ্র্যাজুয়েট দরকার, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।

পরিকল্পনা ছাড়াই গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য বেকারত্ব কমছে না। পরিসংখ্যান থাকলে সেক্টর অনুযায়ী চাহিদা মোতাবেক গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা যেতো, ফলে বেকারত্ব ঘুচানো যেতো।

সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রেহমান সোবহান বলেন, রাষ্ট্রের একটি বড় দায়িত্ব নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি। বাধ্যতামূলক ভাবে যুব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

সংলাপে সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, হতাশা হওয়ার জাতি বাঙালি নয়। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। একসময় এলাকার বাজার থেকে বাড়ি যেতাম কয়েক ঘণ্টায়, এখন বাড়ি যাই পাঁচ মিনিটে। এটাই উন্নয়ন।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, উচ্চ শিক্ষিত ৫০ শতাংশ যুবক বেকার বেকার। এ সরকার ক্ষমতায় এসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে গুরুত্ব দিয়েছে, শিক্ষার মানে নয়। এজন্য বেকারত্ব তৈরি হয়েছে।

সিপিডির ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যদি তা চলমান গতিতে এগিয়ে চলে, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব নয়। এখানে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটা কেউ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে না। যারা চাকরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তাদেরকে বাজারের চাহিদার আলোকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।  

অর্থনীতিবিদ ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, যুব সমাজের কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মূলত জীবন চক্রের চ্যালেঞ্জ। যুব সমাজের মধ্যে যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর, তাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে যে নতুন তিন কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়, এজন্য অবশ্যই উদ্ভাবনী চিন্তা প্রয়োজন।

সংলাপে বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগে এক লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হতো, দশ বছর পর এখন তিনগুণ বেশি গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। অথচ কর্মসংস্থানের নতুন কোনো সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে পাবলিক সেক্টরের চেয়ে প্রাইভেট সেক্টরে বেতন ও সুযোগ সুবিধা কম। সুতরাং প্রাইভেট সেক্টরমুখী হচ্ছে না শিক্ষিত তরুণরা।

সংলাপে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।  

বাংলাদেশ সময় : ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০৩০
টিএম/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।