ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অর্থের অভাবে বাঁচানো গেল না সেই শিশুটিকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
অর্থের অভাবে বাঁচানো গেল না সেই শিশুটিকে হাসপাতাল ইনকিউবেটরে রাখা শিশু জান্নাতুল। ছবি: বাংলানিউজ

চুয়াডাঙ্গা: শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলোনা শিশু জান্নাতুলকে। মায়ের কোলে থেকেই শিশুটিকে হার মানতে হলো মৃত্যুর কাছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাড়িতে শিশুটি মারা যায়। শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে তাকে এক নজর দেখতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামে নামে শতশত মানুষের ঢল ।

এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু রাজশাহী যাওয়ার মত টাকা শিশুটির বাবার কাছে না থাকায় শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। অর্থ জোগাড় করার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।  

শিশু জান্নাতুলের মৃত্যুর পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। অনেকে শিশুটির মৃত্যুর জন্য বেসরকারি ক্লিনিক উপশম নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও আয়াদের অবহেলাকে দায়ী করে তাদের শাস্তির দাবি তুলেন।  

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, শিশুটি নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম নিয়েছে। এছাড়া নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত ছিল শিশুটি। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে প্রাণপণ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই শিশুটির উন্নতি না হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানোর পরামর্শ দেই। দুপুরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন।  

শিশু জান্নাতুলের বড় চাচা বরকত আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানোর কথা বললেও তাদের হাতে রাজশাহী যাওয়ার মত কোনো টাকা পয়সা ছিলনা। এজন্য দুপুরে তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর টাকা জোগাড় করার প্রস্তুতির সময় দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।