ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইসমাত আরার মৃত্যু কষ্টের: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
ইসমাত আরার মৃত্যু কষ্টের: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ যেদিন জন্মগ্রহণ করে সেদিন থেকেই মৃত্যু অবধারিত। এটা মেনে নিতেই হয়। কিন্তু সেই মৃত্যু এমন এমন সময় আসে যেটা সত্যিই খুব কষ্টকর। আজকে (মঙ্গলবার) সকালে ইসমাত আরা সাদেক মারা গেলেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম এমপি হওয়ার পরে ইসমাত আরা সাদেককে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলো, প্রথমে এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন। আমি বললাম আপনি শিক্ষিত মানুষ, পারবেন। আমার বিশ্বাস আছে। এভাবে প্রতিটি কাজ তিনি অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে করতেন। পরবর্তীতে আবার যখন আমরা সরকার গঠন করলাম। ২০১৫ সালে আবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিলাম।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, মৃত্যু এভাবেই আসে। উনাকে ভুগতে হলো না, কষ্ট করতে হলো না। এটাই হচ্ছে বড় কথা। এবার আমাদের পার্লামেন্টের দুর্ভাগ্য পরপর চারজন সংসদ সদস্য মারা গেলেন। ডা. ইউনুস, ডা. মোজাম্মেল হক, আব্দুল মান্নান- এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার তিনদিন পরই মারা গেলেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোর-৬ আসন থেকে তিনি (ইসমাত আরা সাদেক) বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ও তার স্বামী এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। সমস্ত কেশবপুর আলোকিত করেছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, সবক্ষেত্রে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। আমি যশোর-৬ আসনের ভোটারদের প্রতি সহানুভুতি জানাচ্ছি।  তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে বিদেশ থেকে ঢাকায় এসেছে। মেয়েও চলে এসেছে অসুস্থতার কথা শুনে।

‘সবচেয়ে বড় কথা, তিনি অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতেন। তার বড় গুণ উনার সততা, একাগ্রতা এবং নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেম। ’
  
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখন ইসমাত আরার স্বামী সাদেক সাহেব অনেক কাজ করে দিয়ে গেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস করা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে সাদেককে সভাপতি করে কমিটি করা হয়েছিল। সুন্দরবনের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে অনেক কাজ করেছেন তিনি।

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের সবারই চলে যেতে হবে। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তিনি জান্নাতবাসী হোন।

শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য উপাধক্ষ্য আব্দুস শহীদ, রওশন আরা মান্নান, আ ক ম সারওয়ার জাহান, ওয়াসিকা আয়শা খান, কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।   

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসই/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।