জানা যায়, উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চরভাটপাড়া মৌজায় এ খালটির অবস্থান। খালটি কাশিয়ানী উপজেলার জঙ্গল মুকুন্দপুর, বুধপাশা, পারকরফা সুইচ গেট হয়ে চর ভাটপাড়ার দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে মধুমতি নদীতে গিয়ে মিশেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার ফয়সাল কবির কদরের চর ভাটপাড়া মৌজায় একটি বালির চাতাল রয়েছে। সেখানে তিনি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন। সেই বালির চাতালের পানি নিষ্কাশনের জন্য একটা আউট লাইন করে সেটা ওয়াবদা খালের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। এই আউট লাইন দিয়ে পানি এবং বালি পড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার ফয়সাল কবির কদর বাংলানিউজকে বলেন, আসলে আমি ওখানকার মধুমতি নদীর বালু মহলটি ইজারা নিয়ে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীদের কাছে ঠিকা দিয়ে দিয়েছি। তারা কি করেছে আমি বিষয়টি জানিনা। তবে যদি খাল ভরাট হয়ে যায়, তাহলে বালু ব্যবসায়ীদের বালু কাঁটতে নিষেধ করে দেবো।
কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিন্টু বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মৌখিকভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি খাল ভরাট করলে তা অপসারিত করতে হবে তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বাংলানিউজকে বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে খালের মধ্যে যাতে বালু না যায় সেজন্য নির্দেশ দিয়েছি। একই সঙ্গে খালের মধ্যের বালু অনতিবিলম্বে অপসারণ করারও নির্দেশ দিয়েছি। বালু সরিয়ে না ফেললে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এনটি