ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভবিষ্যৎ মেয়রদের কাছে দরিদ্রদের সেবা নিশ্চিত করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
ভবিষ্যৎ মেয়রদের কাছে দরিদ্রদের সেবা নিশ্চিত করার দাবি নগরের দরিদ্র মানুষের সেবা নিশ্চিত করার দাবি করেছে তিনটি সংগঠন।

ঢাকা: ঢাকা সিটি করপোরেশনে বিজয়ী ভবিষ্যৎ মেয়রদের কাছে নগরের দরিদ্র মানুষদের সেবা নিশ্চিত করার দাবি করেছে তিনটি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘নগর দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মেয়রদের কাছে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ দাবি জানানো হয়।

এ সংলাপ আয়োজন করে বারসিক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)।

লিখিত বক্তব্যে বারসিক সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা দু’জন নবনির্বাচিত মেয়র পাবো। এ মেয়রদের কাছে যেমন ধনী ও মধ্যবিত্তদের অনেক ধরনের প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি প্রত্যাশা রয়েছে নগরের বসবাসরত প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি নিম্নআয়ের বস্তিবাসী ও পথবাসী মানুষের। বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে বসবাসকারী এ মানুষেরা অধিকাংশই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বস্বান্ত হয়ে বাধ্য হয়েই গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি এ শহরের বস্তিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের পেশায় যুক্ত থেকে শহরটি সচল রেখেছে। কিন্তু রাষ্ট্র এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন সচল রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ লোকেরাই ভোট দিয়ে মেয়রদের নির্বাচিত করেন। বিভিন্ন মিটিং মিছিলে গিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের আরও বড় হওয়ার পথ তৈরি করে দেন। অথচ নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই কেউ এদের আর খোঁজ নিতে চায় না।

তিনি তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামীতে নির্বাচিত মেয়রদের কাছে নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে: শক্তিশালী নগর সরকার দিতে হবে এবং নগর দরিদ্র মানুষদের সব সেবা নিশ্চিত করতে হবে; নগরে বসবাসরত সব নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে অসহায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; গ্রাম ও শহরের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী চালু করতে হবে; শহরের দরিদ্র মানুষদের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর, নারী বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব ধরনের কর্মসূচি চালু করতে হবে; সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াকে সহজ করতে হবে; জাতীয় পরিচয় পত্রের ঠিকানা সমস্যার কারণে অনেকেই এ সেবার আওতায় আসতে পারে না। তাই তারা নগরের যেখানে অবস্থান করুক না কেন নাগরিক সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সঙ্গে তাদের যুক্ত করতে হবে; দারিদ্র্যের হার কমানোর জন্য নিম্নআয়ের মানুষের প্রধান ব্যয়ের খাত যেমন চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিনামূল্যে ব্যবস্থা করতে হবে; সমাজসেবা অধিদপ্তর, নারী বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজকল্যাণ, ওয়াসা, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সেবা আরও সহজভাবে বস্তিবাসীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে; নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য ভর্তুকির মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে; বস্তিবাসীদের জন্য সহজভাবে ব্যাংক একাউন্ট করার ব্যবস্থা মেয়রকেই করতে হবে; বয়স্ক ভাতা, দরিদ্র মায়েদের খাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সব ভাতা প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে এবং বস্তিবাসী শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মেয়রকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশীষ কুমার কুন্ডু, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ) নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সানইয়াত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এমএমআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।