বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশে অবৈধ দখলদারদের প্রস্তুত করা তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে ও সংশ্লিষ্ট সব জেলা তথ্য বাতায়নে আপলোড করে সর্বসাধারণের পাঠ ও অনুসন্ধানের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার কার্যক্রমটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে প্রণীত তালিকা অনুযায়ী বিশেষ উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১ হাজার ২৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং সাড়ে ২১ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য নদীবন্দরগুলোতেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করার বিষয়টি অব্যাহত রাখা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী- কুমিল্লা জেলায় সর্বাধিক ৫ হাজার ৯০৬ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী জেলায় ৪ হাজার ৪৯৯ জন, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৭০৪, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১৩৪, বরিশাল জেলায় ২ হাজার ২৭২, ময়মনসিংহ জেলায় ২ হাজার ১৬০ জন অবৈধ দখলদার রয়েছে।
আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি ও সুনীল অর্থনীতি কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে বিএসসির কৌশলগত পরিকল্পনায় এই ছয়টি বড় জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘দীর্ঘদিন অবহেলিত বিএসসিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতায় বিএসসির জন্য ৬টি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ’
আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা বাংলাদেশের চলমান সব নৌপথ সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের জন্য ১০৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। উক্ত বরাদ্দ থেকে প্রয়োজন অনুসারে আরিচা-নগরবাড়ী হয়ে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত নৌপথ ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম চলমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসকে/এসই/এএ