বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, আজকে কিছুলোক এদের নাম মিজান, আরেকজনের নাম মনোয়ার। এরা যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী যিনি জেল খাটছেন তার পক্ষে কথা বলছে। তারা বলছে ঘরে ঘরে সাঈদী বেরিয়ে আসবে। একজন বলেছে এখন তীর-ধনুকের যুগ নয়। এখন একে-৪৭ এর যুগ। এদের এসব বক্তব্যে কি বোঝায়। এ ধরণের বক্তব্য প্রচ্ছন্ন হুমকী নয় প্রকাশ্য হুমকী। দেলোয়ার হোসেন সাঈদী যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন। অথচ কিছু লোক বিভিন্ন জায়গায় ওয়াজে তার পক্ষে কথা বলছেন। এটা তারা কিভাবে বলেন।
এরপর শফিকুর রহমানের বক্তব্য শেষে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখানে উত্থাপন করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে যে সমস্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য আসছে। এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে। জিয়া তো স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। জিয়া ছিল পাঠক। তাকে ঘোষক বলা এটা মিথ্যা বলা। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন প্রায়ই কোরআনের উদ্ধৃতি দেন। তাহলে তিনি এখানে মিথ্যা তথ্য দেন কি-করে। আমি বলতে চাই জিয়াউর রহমান কোনো দিন মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, তিনি (জিয়া) কোথায় কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছে এটা আপনারা জানাবেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় মোস্তাকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে। শেষের দিকে মুজিবনগর সরকারের কাছে তাদের ষড়যন্ত্র ধরা পড়ে। যার কারণে মোস্তাককে মুজিবনগর সরকার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এটাই সঠিক ইতিহাস। আর জিয়াউর রহমানকে ইনেক্টিভ (নিষ্ক্রিয়) করে রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসকে/এসই/এসএইচ