মনোয়ার আহমেদ বলেন, এবার প্রথমবারের মতো আমরা ২ লাখ কোটি টাকার এডিপির ‘ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম’ করেছি। অর্থবছরের ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকার এডিপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ও বিদেশি উৎস থেকে ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার যোগান ধরা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সচিব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসারস ফোরামের সভাপতি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাবির প্রায় দুই হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সম্মেলনে অংশ নেন। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিব, উপাচার্য থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন জাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসারস ফোরাম এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে ইআরডি সচিব বলেন, আমাদের এবারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) স্লোগান ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। আমাদের এই বছর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭১ হাজার কোটি টাকা। আমরা ইতোমধ্যেই সেই পরিমাণ অর্থের কাছাকাছি অর্জন করতে পেরেছি। আমার দায়িত্ব বৈদেশিক সহায়তা আনা। বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। এখন মানুষ আমাদের পেছনে টাকা নিয়ে ঘুরছে।
মিলন মেলায় ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করে সচিব বলেন, আমাদের প্রাণের টানের অপর নাম জাহাঙ্গীর নগর। ক্যাম্পাসে তাপস নামেই বেশি পরিচিত ছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হলে থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী যখন এই দেশে পা রাখেন। তখন আমার দায়িত্ব এসেছিল আর বেরুনি হলের ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে ধরে রাখা। আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি সরকারি চাকরিতে এসেছি।
আমরা সরকারি চাকরিতে যারা উচ্চপর্যায়ে রয়েছি, সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশকে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার। এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা যে যেখানেই অবস্থান করি না কেন, সরকারের প্রতি সবার দায়িত্ব- দেশ গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য তার হাতকে শক্তিশালী করা। সৎভাবে আমাদের মেধা দক্ষতা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বীর সন্তানেরা দেশ স্বাধীন করে গিয়েছেন। আমি সেই দিনও আমাদের গ্রামের এক অনুষ্ঠানে বলেছি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের বাপ চাচারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। সেই জন্যই আজকে আমরা সচিব বা সেই জন্যেই আজকে আমরা এই পদে আছি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যার আহ্বানে আমাদের নতুন ভাবে যুদ্ধে নামতে হচ্ছে, এই যুদ্ধের নাম সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
আমরা বিভিন্ন যায়গায় আছি। আমাদের সবার সুযোগ রয়েছে যে যেখানে যেখান থেকে কাজ করি সেখান থেকে দায়িত্ব পালন করা। আমরা গর্বিত আমরা জাবিয়ান। আমরা জাবিয়ান হিসেবে গর্ব করি আমাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে এই পর্যায়ে এসেছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করলে দেশ সামনে এগিয়ে যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিশেষ অতিথি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এমআইএস/জেআইএম