শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহবায়ক মিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হবে।
কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদের আহ্বায়ক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০ থেকে ১১ গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকায় শুরু হয়ে ১২ হাজার ৫০০টাকায় শেষ হয়। এই ১০ গ্রেডের বেতন স্কেলের মোট পার্থক্য ৪২৫০ টাকা। পাশাপাশি ১০ থেকে ১ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বেতন ১৬ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে ৭৮ হাজার টাকায় শেষ হয়।
এই ১০ গ্রেডের পার্থক্য ৬৫ হাজার ৫০০টাকা এছাড়া কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে গাড়ি, আবাসন সুবিধা, সুদমুক্ত গাড়ির ঋনসহ নানাবিধ সুবিধা। অথচ প্রত্যেকে একই বাজার ব্যবস্থার কাঠামোর আওতায় জীবন ধারণ করে, এতে প্রতিদিন শ্রেণি বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বেতন বৈষম্য নিরসনসহ নতুন পে-স্কেল সংশোধন করে গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমাহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানোর জোর দাবি জানান তিনি।
৮ দফা দাবি গুলো হলো- গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমাহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পুণঃবহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে। সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে। সকল ভাতা চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া নিম্ন বেতন ভোগীদের জন্য রেশন ও শতভাগ পেনশন চালুসহ পেনশন গ্রাচুইটি হার ১ টাকা সমান ৫০০ টাকা করতে হবে। কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ, মহানগরের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান পান্নাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
পিএস/জেআইএম