চলন্তিকা বস্তিতে এদের মধ্যে ব্যতিক্রম রুমানা আক্তার তানজিদা। আনন্দ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির এ শিক্ষার্থীর সব বই পুড়ে গিয়েছে আগুনে।
দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে রুমানা বাংলানিউজকে জানায়, আগুনে তার সব বই-খাতা পুড়ে গেছে। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। গরিব-হতদরিদ্র মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে চায়।
রুমানা’র দিনমজুর বাবা বাদল বলেন, স্বল্প আয় দিয়ে সন্তানদের পড়াশোনা করাচ্ছি। আমার দুই সন্তান। রুমানা পঞ্চম শ্রেণিতে আর ছেলে শরিফ ইসলাম রাসেল দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো সন্তানরা যতটুকু পড়াশোনা করতে চায় তা করানোর।
তবে, আগুনে ঘরের অন্যান্য মালামালের পাশাপাশি সব বইখাতা পুড়ে যাওয়ায় সন্তানদের স্বপ্ন পূরণ নিয়ে চিন্তিত তিনি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে চলন্তিকা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হলে মুহূর্তের মধ্যেই তা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরসহ নগরীর বিভিন্ন স্টেশনের ১৫টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় শারমিন নামের এক নারী অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএমআই/জেআইএম