উদ্বোধনকালে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান।
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ব) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনের কোচগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়িকায় ১৪টি এবং উদয়নে ১৩টি নতুন কোচ সংযোজন হচ্ছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উদ্বোধন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় তিন যুগ পর সিলেট রুটে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ১৪টি এবং উদয়নে ১৩টি ‘নতুন কোচ’ সংযোজন করা হচ্ছে। এরআগে এই রুটে ১৯৮৬ সালে পাহাড়িকা এবং ১৯৯৮ সালে উদয়ন ট্রেন চালু হয়েছিল। কিন্তু চালু হওয়ার পর থেকে ট্রেনগুলোতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এবার এই রুটের যাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টিতে ট্রেনের নতুন কোচে চলাচল করতে পারবে। ফলে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি লাল-সবুজের মোড়কে সিলেট-চট্রগ্রাম রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল করবে।
রেল নতুন এই দুটি ট্রেনে দুই হাজার ৪৪৪ জন (যাওয়া-আসা) ভ্রমণ করবে। প্রতিটি ট্রেনেই রয়েছে এসি-২টি, এসি স্লিপার-২টি, নন এসি-৭টি, পাওয়ার কার গার্ড রুমসহ নানাবিধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নতুন কোচ সংযোজনের কারণে অনেকের ট্রেনে ভ্রমণের আস্থা বাড়বে বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি নতুন এই কোচগুলোর মধ্যে ঢাকা-জামালপুর রুটের ‘জামালপুর এক্সপ্রেসও রয়েছে।
রেল সূত্র জানায়, ২৬ জানুয়ারি থেকে উদয়ন ট্রেনে এসি বার্থ থাকবে ৩৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টি। অর্থাৎ এই ট্রেনে সর্বমোট টিকিট থাকবে ৫৯৬টি। অপর দিকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি সিট ৬৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ সর্বমোট আসন থাকবে ৬২৬টি। কিন্তু বিপরিতমুখী অপর উদয়ন ও পাহাড়িকা ট্রেনের অধিকাংশই শোভন চেয়ার টিকিট হওয়ায় ২৬ জানুয়ারির পর থেকে নতুন ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। নতুন কোচ ও আধুনিক সুবিধা সংযোজন হওয়ায় উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের একমুখী ট্রেনের ক্ষেত্রে আসন বিন্যাস ও টিকিটের ভাড়াও পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পূর্বে ট্রেন দুটি ১৬/৩২ কম্পোজিশনে চলাচল করলেও নতুন নিয়মে ১৪/২৮ কম্পোজিশনে চলবে। পূর্বে ট্রেন দুটিতে নন-এসি প্রথম শ্রেণি ছিল একটি কোচ। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি থেকে এসি প্রথম শ্রেণি কোচ থাকবে দুটি। এ ছাড়া আগে একটি এসি চেয়ার কোচের পরিবর্তে দুটি এসি চেয়ার এবং পূর্বের সব শোভন শ্রেণির কোচ পরিবর্তন করে নয়টি শোভন চেয়ার কোচ সংযোজন করা হবে। মূলত শোভন চেয়ার সাতটি হলেও দুটি খাবার গাড়ির প্রতিটিতে ৩০টি করে শোভন চেয়ার ধরে একটি কোচ বিবেচনা করেছে রেলওয়ে।
নতুন ট্রেনের সময়সূচি জানা গেছে, উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টায়। আবার সিলেট থেকে পাহাড়িকা হয়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পাহাড়িকা চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এনইউ/এমআইএইচ/এসএইচ