ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনার বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
খুলনার বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের উদ্বোধন

খুলনা: খুলনার রূপসার সামন্তসেনায় অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্ল্যান্টটির উদ্বোধন করেন।

খুলনাপ্রান্তে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি দৈনিক ১১০ মিলিয়ন লিটার পানি পরিশোধণে সক্ষম।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা পানি সরবারহ প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৭ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন মেলে। যার বাস্তবায়ন কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।  

এ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে মোল্লাহাট মধুমতি নদী থেকে পাইপের মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি রূপসার সামন্তসেনায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পরিশোধন করা হচ্ছে। সামন্তসেনায় ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪ একর জমির ওপর এ প্ল্যান্টটি নির্মিত হয়েছে।  

এতে দৈনিক গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন হচ্ছে। প্রথমে এই প্ল্যান্টে পানি প্রবেশের পর তা ফ্লকুলেশন চেম্বারে কেমিক্যালের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হালকা ময়লা দূরীভূত হয়। দ্বিতীয় ধাপে সেডিমেন্টেশন ট্যাংকে যাওয়ার পর ভারী ময়লা নিচের দিকে তলানী হিসেবে জমা হয়।  

বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটপ্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: বাংলানিউজপরবর্তী ধাপে ফিল্টারের মাধ্যমে পানি সম্পূর্ণরূপে পরিশোধিত হয়। পরিশোধনের জন্য কেমিক্যাল হিসেবে পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড এবং জীবানুমুক্ত করার জন্য কেলারিন ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পাশেই একটি আধুনিক ওয়াটার টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।  

ওই ল্যাবে দৈনিক পানির মাননিয়ন্ত্রণ করে হচ্ছে। তিনটি ক্লিয়ার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে পরিশোধিত এ পানি মেইন ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে রূপসা নদীর তলদেশ দিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে পাইপ লাইন স্থাপন করে খুলনার সাতটি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ১০টি ওভার হেড ট্যাংকে আনা হচ্ছে।  

স্থানগুলো হচ্ছে- চরেরহাট, লবণচরা, নতুন বাজার, ছোট বয়রা, রায়ের মহল, বয়রা হাউজিং এবং দেয়ানা। বাকি ৩টি ওভারহেড ট্যাংক হচ্ছে- বানিয়াখামার, মিরেরডাঙ্গা ও দৌলতপুরের পাবলা।  

এসব ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার ও ওভার হেড ট্যাংকে পানি সরবারহে ৩শ’ মিলিমিটার থেকে ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের ৩৩ কিলোমিটার ডাকটাইল আয়রন পাইপ স্থাপন করা হয়েছে।  

এছাড়া ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাসের প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪০ হাজার বাসগৃহে সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬ , ২০২০
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।