গত এক বছরে কুড়িগ্রাম জেলায় ৩২ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১৯৮১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৩৩২ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় মিলনায়তনে ‘কুষ্ঠ রোগের কুফল এবং এর থেকে পরিত্রাণ পেতে করণীয়’ বিষয়ক আয়োজিত আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
‘প্রতিবন্ধিতা ও বৈষম্যহীন স্বদেশ-কুষ্ঠমুক্ত হোক, আমাদের বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে লেপ্রা বাংলাদেশ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে কুড়িগ্রামে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও সভার আয়োজন করা হয়।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. বোরহানুল আলম সিদ্দিকী, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জহুরুল হক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. হান্নান, আরডিআরএস বাংলাদেশের সদর উপজেলা ম্যানেজার জাকির হোসেন প্রমুখ।
এর আগে সকালে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকিংসহ বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়। র্যালিতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং কুষ্ঠ রোগীসহ প্রায় ২৫০ জন নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
সভায় বক্তারা কুষ্ঠ রোগের কুফল এবং এর থেকে পরিত্রাণ পেতে করণী নীয় বিষয়ক আলোচনা করেন। তারা এ সময় কুষ্ঠ রোগী নির্ণয় এবং কুড়িগ্রামকে কুষ্ঠ রোগ মুক্ত করতে সবাই তাদের অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় গত বছর ৩২ জন কুষ্ঠ রোগীকে শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়াসহ ১৯৮১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত জেলায় পাঁচ হাজার ৩৩২ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত এবং চিকিৎসা দেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এফইএস/এএটি