ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে’

ঢাকা: দেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে দুদকের জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। কারণ কমিশন যেসব ই-গভার্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সংক্রান্ত দুর্নীতি তদন্ত করছে, তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্রক্রিয়াকে কতিপয় ব্যক্তি ম্যানুপুলেট (বিকৃত) করে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকেই বিতর্কিত করছে।  

‘অপরাধীরা সুকৌশলে ই-জিপি প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে এসব অপরাধ করছে। এই অপরাধীদের কারণে একই ঠিকাদার অধিকাংশ সরকারি কাজ পাচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ই-জিপি প্রক্রিয়ায় এ জাতীয় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশের স্বার্থেই এর ফাঁক-ফোঁকড় বন্ধ করা সমীচীন।

এক্ষেত্রে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের সহযোগিতা চেয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব নীতিমালা প্রণয়নে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাসমূহকে কীভাবে সংযোজন করা যায়, যাতে পদ্ধতিগতভাবেই দুর্নীতির সুযোগ রুদ্ধ হয়ে যায়- এ বিষয়ে আপনারাও জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা করতে পারেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন এই লক্ষ্যমাত্রার ১৬ নং লক্ষ্য অনুসারে সমাজের সর্বস্তরে কার্যকর, জবাবদিহিমূলক ও অর্ন্তভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয় এই লক্ষ্যমাত্রার ৪ নং লক্ষ্য বাস্তবায়নে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।  

শিক্ষাক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সংস্কারে যেমন কমিশন ভূমিকা রাখছে, তেমনি দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে মামলা করা হচ্ছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আবার প্রায় প্রতিনিয়তই প্রতিরোধমূলক অভিযানও পরিচালনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কমিশনের কর্মকর্তাদের তদন্ত কর্মকৌশল, জিজ্ঞাসাবাদ টেকনিকসহ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের সৃজনশীল এবং বিশ্বব্যাপী অনুসৃত কৌশলসমূহ আমাদের দেশের অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।


ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট অফিসার ড্যানিলো রিজ্জি বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম একটি জ্ঞানভিত্তিক অফিস। এর বিশাল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে ।  

এসময় অন্যের মধ্যে দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ডিএন/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।