রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট পুলিশ লাইন্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও অস্ত্রাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। পরে বেলুন উড়িয়ে পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন এবং অগ্নিশিখা প্রজ্বলন করেন আইজিপি।
এ সময় তিনি বলেন, গত এক বছরে পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে দুই কোটি কল করেছেন সেবা প্রত্যাশীরা। এরমধ্যে ৫০ লাখ কলের সেবা দেওয়া হয়েছে। এ সেবা আরও প্রসারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, কোনো থানায় এসে যেন সেবা গ্রহীতা হয়রানির শিকার হতে না হয়। মিডিয়া কর্মীদের কাছ থেকে থানাগুলোর অবস্থা জানতে চেয়ে তিনি বলেন, খারাপ হলে খারাপ, ভালো হলে ভালো বলবেন।
পুলিশের ব্যবহার আগের থেকে পরিবর্তন হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, কেউ যখন কথা বলছেন না, তখন ধরে নেবো এখনো থানায় গেলে টাকা লাগে।
তিনি বলেন, যিনি অসহায় অবস্থায় থানায় আসবেন তাকে সেবা দেওয়া আমার দায়িত্ব। আমি তার প্রতি করুনা করছি না। আমি কঠোরভাবে নির্দেশ দিচ্ছি, সেবা গ্রহীতা কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না। অযথা কাউকে হয়রানিও করা যাবে না। আমরা থানাকে একটি বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করতে চাই। আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই, মানবিক পুলিশ হতে চাই, আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই। আমরা আপনাদের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
আইজিপি বলেন, আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি, সেবা নিতে গিয়ে যদি কেউ টাকা চায় আপনারা সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন। আমরা এর প্রতিকার করবো। পুলিশের হোক বা কোথাও কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলে ৯৯৯-এ জানান। এটি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সরাসরি আমি নিজে নিয়ন্ত্রণ করি।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে। আমরাও গর্ব করে বলতে চাই, আমরা উন্নত দেশের পুলিশ। আমি সেই স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখতে সহকর্মীদের উৎসাহিত করি। আমরা যতোদিন এ লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারি, ততোদিন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট এসে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন আইজিপি। এ সময় সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান, পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এনইউ/আরবি/