ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সমালোচনা না করে দেশের সমস্যা সমাধানের আহ্বান তাজুলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
সমালোচনা না করে দেশের সমস্যা সমাধানের আহ্বান তাজুলের কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সমালোচনা কিংবা বাংলাদেশকে অন্য দেশের সাথে তুলনা না করে দেশের সমস্যা সমাধানে নতুন গবেষণা, আবিষ্কার, যুগোপযোগী সমাধান এবং সঠিকভাবে সমস্যা চিহ্নিতকরণের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে দুর্যোগ মোকাবেলায় সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সচেতন নগর গঠনের উদ্দেশ্যে দু’টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও এ সংক্রান্ত কর্মশালায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। নাগরিক সুরক্ষা এবং মানবিক স্বার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহযোগিতায় প্রকল্প দুটির আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কনসোর্শিয়াম পার্টনারদের আয়োজনে কর্মশালাটি আয়োজিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক ধরণের সমস্যা আছে। এগুলো এক রাতেই সমাধান হবে না, উন্নয়ন সংস্থা, গবেষক, প্রকৌশলী সবাইকেই নগর গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রতিবন্ধকতাও আছে, আপনারা বিষয়গুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে কাজ করুন।

উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলোর একটি ‘স্ট্রেংদেনিং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রোজেক্ট (সার্প-২)’ যেটির কনসোর্শিয়াম পার্টনার হিসেবে কাজ করছে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, পপুলেশন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেইনিং সেন্টার (পিএসটিসি) এবং কমিউনিটি পারটিসিপেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিডি)।

নাগরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করে একটি নিয়মতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমন্বিত পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে নগর বিপর্যয় ও ঝুঁকির প্রভাব হ্রাস করণে কাজ করবে সার্প-২ প্রকল্প। এ পদক্ষেপটি সমস্ত প্রাসঙ্গিক অংশীদার যেমন, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবকদের জড়িত করে বিভিন্ন কৌশল, পাঠ ও পদক্ষেপকে প্রাতিষ্ঠানিককরণের প্রক্রিয়ায় জোর দেবে। প্রকল্পটির আরও একটি অগ্রাধিকার হল নাগরিক সহনশীলতা বৃদ্ধি উদ্যোগে সর্বাধিক প্রান্তিক গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নম্বর ২৯, ৩০, ৩২ এবং ৩৪; দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নম্বর ৪৭, ৪৯, ৫৮ এবং ৫৯ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০, ১৪, ১৫ এবং ১৬ নং ওয়ার্ডে দু’বছরে এ প্রকল্প কাজ করবে।

অপর প্রকল্পটি হল ‘ঢাকা আর্থকুয়েক অ্যান্ড ইমারজেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস এনহ্যানসিং রেজিলিয়েন্স (ডিপার)’। এ প্রকল্পের কনসোর্শিয়াম পার্টনার হিসেবে আছে জার্মান রেড ক্রস, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, দ্য ব্রিটিশ রেড ক্রস, দ্য ইন্টারন্যশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ, ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং অ্যাকশন এগেইন্সট হাঙ্গার।

ঢাকার ১৮টি ওয়ার্ডে বড় ধরণের ভূমিকম্প এবং অন্য জরুরি পরিস্থিতে সঠিক সাড়াদান ও প্রস্তুতি উন্নত করণের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানোর উদ্দেশে কাজ করবে এই প্রকল্পটি। এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উভয় প্রকল্প কাজ করবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ের্স, জার্মান রেড ক্রসের হেড অফ অফিস গৌরব রায় প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএএম/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।