সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে কেওতা ঘিগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা দুই ভাই ওই এলাকার ওমান প্রবাসী আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।
নিহত আবদুর রহমান পার্শবর্তী উপজেলার গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এদিকে, এ ঘটনার পর রাতেই তার ভাই আবদুল্লাহ পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, আবদুল্লাহ লেখাপড়া করলেও মানসিকভাবে স্বাভাবিক না। রাত ৯টার দিকে আবদুল্লাহ বাড়ির পার্শবর্তী মাদ্রাসায় এসে এলাকাবাসীকে ডেকে ভাই আবদুর রহমানকে আঘাত করার কথা জানান। পরে তাদের দাদা আবদুল খালেক হাওলাদারের সহযোগিতায় এলাকাবাসী আবদুর রহমানকে উদ্ধার করে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবদুর রহমানের মা ইয়াসমিন বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আগামী মাসে আবদুল্লাহর দাখিল পরীক্ষা। তারা দুজন ঘরের সামনে বসে পড়ছিল। আমি ওদের জন্য খিচুড়ি রান্না করছিলাম। হঠাৎ আবদুর রহমানের চিৎকার শুনে সামনে এসে দেখি তার মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক মাহজবীন আহম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। মাথার ওপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিহত যুবকের দাদা আবদুল খালেক বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এমএস/টিএ