১০৬ হটলাইনে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির ব্যাপারে অভিযোগের পর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গত ৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক তদন্তে নামে দুদক হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়। যা ছিল তাদের প্রথম পদক্ষেপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদক হবিগঞ্জের এক কর্মকর্তা বলেন, তদন্তের জন্য অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। এখন জানতে পেরেছি প্রধান কার্যালয় থেকেই এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। তবে আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র এখনও পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র হাতে পেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আজম খান সরেজমিনে তদন্তকালে দরপত্রের কাগজপত্র ও কেনা যন্ত্রপাতি খতিয়ে দেখেন।
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি তদন্ত করতে এসেছি। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেব বলে আশা করছি। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্তকালে কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবু সুফিয়ান ও দরপত্র প্রস্তাব এবং মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. নাসিমা খানম ইভাকে খুঁজে না পেলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্তের সময় তারা উভয়েই উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের বইপত্র ও মালামাল কেনায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে প্রতিষ্ঠানটিতে। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয়। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
আরএ