মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ কথা জানান রেলপথ মন্ত্রী।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশের ৪৪টি জেলায় বর্তমানে রেলপথ রয়েছে। বাকি জেলাগুলোতে রেলপথ স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক কয়েকটি রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি কারণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটোছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- জনবল সঙ্কটের কারণে ট্র্যাক, কোচ, ব্রিজ এ ধরনের জিনিসপত্রের রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, অবৈধ লেভেল ক্রসিং গেইট দিয়ে অনিয়ন্ত্রিত সড়কযান পারাপার, লাইনে বসানো রেল ভাঙা পাওয়া, লাইনচ্যুতি, অত্যধিক বন্যার কারণে ট্রেন চলাচল বিচ্ছিন্ন হওয়া, দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ইত্যাদি।
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম বলেন, ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে ডিজিলাইজেশন করার প্রক্রিয়া চলমান। দুর্ঘটনা রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আরও সচেতনভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিন রেল ব্যবস্থা প্রসঙ্গে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে ঢেলে সাজাতে ও একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য গড়ে তুলতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম আরও বলেন, রেলওয়েতে লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের তীব্র সঙ্কট ছিল। দীর্ঘ সময় রেলওয়েতে চাহিদা মোতাবেক লোকোমোটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ না করার ফলে ট্রেন পরিচালনা হুমকির সম্মুখীন হয়। গত এক দশকে দেশীয় ও বৈদেশিক অর্থায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় লোকোমোটিভ, কোচ ও ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ১৩৫টি নতুন ট্রেন চালু ও ৪০টি বিদ্যমান ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন>>> মেট্রোরেল উদ্বোধন ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এইচজে