মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শাহরিয়ার আলম জানান, চীন থেকে ফিরতে আগ্রহী প্রবাসীদের নিবন্ধন শুরু করেছে বাংলাদেশ।
‘মানুষজন ফিরিয়ে আনতে যে কয়েকটা দিন সময় লাগবে কোনো ব্যতিক্রম ছাড়া ততোদিন চীন সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য আমি সে দেশে থাকা বাংলাদেশীদের অনুরোধ করবো। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু নিজের জীবনের স্বার্থে ও ভাইরাসটি যেন তাদের কারও মাধ্যমে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলতেই হবে। আমি আরও অনুরোধ করবো, ওই সব প্রবাসীদের দেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা যেন তাদের এ তথ্য পৌঁছে দেন। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ও অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করছেন। আমরা ঢাকা থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয় করছি। ’
করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্স ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারকালে ‘জিন সিকুয়েন্স’ থেকে মানবদেহে পরীক্ষা চালাতে সময় লেগেছিল ২০ মাস। রয়টার্স আজ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের ‘জিন সিকুয়েন্স’ করে ফেলেছে চীনের বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিন তৈরি করে মানবদেহে পরীক্ষা চালাতে সময় লাগবে ৩ মাস, এর মধ্যে ১ মাস প্রায় পার হয়ে গেছে। সার্স ভাইরাসের পরে চীন এই সম্ভাব্য ঝুঁকির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে দেখছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী এখনো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। যদিও দেশটির সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা উহান অঞ্চলে ৩ থেকে ৪শ’ বাংলাদেশী আছেন। বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর রাখছে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এ ব্যাপারে একটি হটলাইন খোলা হয়েছে। হটলাইন নম্বর হলো- (৮৬ )-১৭৮০১১১৬০০৫।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
টিআর/এইচজে