মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে বিরোধী দলের কয়েকটি সংশোধনীসহ স্থিরীকৃত আকারে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীকে বোর্ডের চেয়ারমান ও প্রতিমন্ত্রীকে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ক্রীড়া সচিব, অর্থসচিবসহ ১৯ সদস্য বিশিষ্ট বিকেএসপি পরিচালনা বোর্ড গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে অধ্যাদেশ বলে প্রতিষ্ঠিত বিকেএসপিইর সব কার্যক্রম এই আইনের অধীনে হয়েছে বলে গণ্য হবে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা; সব ঋণ, দায় ও দায়িত্ব; সব চুক্তিসহ মামলার ধারাবাহিকতা একইভাবে বহাল থাকবে।
বিল অনুসারে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে আছে- উন্নত মানের ক্রীড়াবিজ্ঞানী, কোচ, রেফারি ও আম্পায়ার তৈরি, বিভিন্ন দেশীয় খেলাধূলার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ও যোগাযোগ স্থাপন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৯৮২ সালে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের ঘোষণাবলে প্রতিষ্ঠিত হয়। সামরিক ফরমানবলে জারিকৃত অধ্যাদেশগুলোর অনুমোদন ও সমর্থন সম্বলিত সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ আদালত বিলুপ্ত করে। একইসঙ্গে সংবিধানের সপ্তম সংশোধন আইন ১৯৮৬ বাতিল ঘোষিত হওয়ায় উক্ত অধ্যাদেশের কার্যকারিতা লোপ পায়।
কিন্তু উক্ত অধ্যাদেশগুলোর মধ্যে বিকেএসপি সংক্রান্ত বিষয়সহ কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকর রাখতে ২০১৩ সালে প্রণীত আইন দ্বারা সুরক্ষা দেওয়া হয়। উক্ত অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বাংলা ভাষায় নতুনভাবে আইন প্রণয়ণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তাই বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইন ২০১৯ বিল সংসদে উত্থাপন করা হলো।
১৯৮২ সালে ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ নিবিড় প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এইচজে