মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারোতো সিটির মেয়র মিচিহিকো ইজোমি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সারা পৃথিবীর অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে জাপান আমাদের বন্ধু দেশ, তারা মনে করছে আমাদের সঙ্গে তাদের যতটুকু সম্ভব বন্ধুত্বের অবদান তারা রাখতে চায়। তারা এখন মনে করছে বাংলাদেশে যদি কোনো বিনিয়োগ করা হয়, যদি কোনো সাহায্য করা হয়, তবে সাহায্যটা মানবতার জন্য কাজে লাগবে, মানুষের জন্য কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও মানবসম্পদের বিষয়-আশয় দু’টি শহর পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করবে। এজন্য এই চুক্তি হয়েছে। এই চারটি ক্ষেত্রে জাপান অনেক এগিয়ে রয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে এসব ক্ষেত্রে সহায়তা পেতে পারি। তাদের কাছ থেকে প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন সহায়তা পেতে পারি।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের এমন ফেন্ডশিপ চুক্তি এটাই প্রথম জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, একদিনে অনেক কিছু অর্জন হয়ে যাবে না। তবে সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের পদযাত্রায় একত্রিত হয়েছি এটা বলা যায়। সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে আমার তাদের কাছ থেকে কী নিতে পারি, আমাদের এখানে কী হতে পারে, এ বিষয় বিবেচিত হবে। অফিস আদালতে কাজ করার গতি তাদের ওখানে কেমন আমাদের এখানে কেন- এসব বিষয় আসবে। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তাদের উৎকৃষ্ট বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে বিনিময় হবে। আমাদেরগুলো তাদের সঙ্গে বিনিময় হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতি বিষয়ে বিনিময়ের ক্ষেত্রে আমরা যদি তাদের দর্শনগুলো অনুসরণ করি তবে আমাদের অনেক উন্নতি আসার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মানবসম্পদ সবচেয়ে বড় সম্পদ, এই সম্পদকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে পরস্পরকে সহায়তা করবে। আমাদের মানুষগুলোতে তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলবে। জাপানে লোকবলের স্বল্পতা আছে। সেই স্বল্পতা তারা পূরণ করতে পারে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে জাপানের বিনিয়োগ রয়েছে। আরও বিনিয়োগ আসতে পারে। এই চুক্তির মাধ্যমে একটা দরজা খুলে গেলো। তারা এগিয়ে আছে, আমরা একটু পিছিয়ে আছি। তার বন্ধুরা বন্ধুকে তো সহযোগিতা করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
জিসিজি/এএ