মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) বিল, ২০১৯ এর সংশোধনী প্রস্তাবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রুমিন ফারহানা বলেন, স্কুল কলেজের সামনে আমরা বড় বড় খেলার মাঠ দেখেছি। যেখানে ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতো এবং আমাদের ভলিবল, বাস্কেট বল খেলার প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এসব স্কুলে খেলার আন্তঃপ্রতিযোগিতাও হতো। এখন বেশির ভাগ স্কুলের সামনে খেলার মাঠ নেই। শিশুরা আইপ্যাড ও মোবাইল ফোনেই অনেক বেশি সময় কাটায়।
তিনি বলেন, পত্রিকায় এমনও এসেছে স্কুলের মাঠে পুকুর কেটে মাছ চাষ করা হচ্ছে। শহরের স্কুলগুলোতে মাঠ এবং এলাকায় খেলাধুলার জায়গা নেই। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে খেলাধুলা করে ক্রীড়াবিদ হওয়া অথবা খেলাকে পেশা হিসেবে গ্রহন করা তো দূরে থাক, দৈহিক এবং মানসিক সুস্থ্যতার জন্য প্রয়োজনীয় খেলাধুলার জায়গাটুকুও আজকাল ছেলে মেয়েরা পাচ্ছে না।
বিএনপি দলীয় এ সংসদ সদস্য বলেন, বিলের সাত ধারায় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করার ক্ষেত্রে যাদের সদস্য করা হয়েছে। তাদের ২২ সদস্যের মধ্যে ৫ এর দ ধারা অনুযায়ী মাত্র তিনজন ক্রীড়াবিশেষজ্ঞ আছেন। আর সব প্রতিষ্ঠানের মতো এ প্রতিষ্ঠানটিকেও (বিকেএসপি) আমলা নির্ভর করে ফেলা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী করতে হলে এবং দেশের ক্রীড়া শিক্ষার উন্নতি চাইলে ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ এবং ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহন আরও অনেক বেশি রাখা উচিত ছিল। প্রস্তাবিত পরিচালনা পর্ষদে মাত্র একজন নারী ক্রীড়াবিদ রাখার নিশ্চয়তা আছে। এবিষয়টিকেও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসই/এবি