একদিনের রিমান্ড শেষে সজীবকে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক আজহারুল ইসলাম।
সেই আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সজীবের জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল।
সজীব আড়ংয়ের বনানী শাখার সাবেক কর্মী। তার বিরুদ্ধে নারী কর্মীদের চেঞ্জরুমে পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ করেন আড়ংয়ের একই শাখার এক নারী কর্মী। এমনই গোপন এক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাকে গত বছর অক্টোবর মাসে চাকরিচ্যুত করে আড়ং কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ওই তরুণী বনানী থানায় সজীবের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। একইসঙ্গে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন তিনি।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, গত ১১ জানুয়ারি সজীব পোশাক পরিবর্তনের একটি ভিডিও তাকে পাঠান। পরে সজীব ওই তরুণীকে তার শরীর দেখাতে বলেন, না হয় ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
তরুণীর অভিযোগের সূত্র ধরে গত ২৫ জানুয়ারি কাফরুল থানাধীন পূর্ব শেওড়াপাড়ায় মনিপুর স্কুলের সামনে থেকে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়।
ওইদিনই তার বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সাইবার সিকিউরিটি ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেন। পরদিন সজীবের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সজীব জানান, গতবছর আড়ংয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় বনানী আড়ংয়ের চতুর্থ তলায় কর্মচারী চেঞ্জরুমের বাইরের সানসেটে দাঁড়িয়ে সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করেন। আড়ংয়ের নারী কর্মচারীদের অজান্তে ইউনিফর্ম পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করতেন তিনি।
তার মোবাইলে ধারণ করা এমন ভিডিও’র বিষয়ে জানান, পোশাক পরিবর্তনের ভিডিওগুলো পাঁচ তরুণীসহ বনানী আড়ংয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন নারী কর্মচারীর। যা তিনি গতবছর ডিসেম্বরে চাকরিচ্যুত হওয়ার আগে একই কায়দায় ধারণ ও সংরক্ষণ করেন।
বাংলদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
কেআই/এএ