ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যুব সমাজের বেকার থাকার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
যুব সমাজের বেকার থাকার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: যুব সমাজের কর্মসংস্থানের জন্য বর্তমান সরকার ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারের গৃহীত বিভিন্নমুখী কর্মসূচির জন্য এখন যুব সমাজের বেকার থাকার কোনো সুযোগ নেই। তবে সবকিছু নির্ভর করে যুবকদের ওপর বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্যদের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবকরা বেকার থাকুক এটা আমরা চাই না। এজন্য শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। সেখান থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে, ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাংক, বিমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেখানে যা হচ্ছে, সেখানেই যুবকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য যুবকদের জন্য আমরা যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা অনেক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছি। এখন বেকার থাকার কোনো সুযোগ নেই। তবে সবকিছু নির্ভর করে যুবকদের ওপর। আমরা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। স্কুল থেকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাতে তারা শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও প্রশিক্ষিত হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে, কিছু করতে পারে। শিক্ষা ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে, যাতে যুব সমাজ প্রশিক্ষিত হয়ে উঠতে পারে। এখন তারা চাকরির পেছনে ঘুরবে না। নিজেরা কিছু করে অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারবেন। এখন যদি কেউ ইচ্ছা করে বেকার থাকে তাহলে আর কিছু করার নেই।

বিরোধীদলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (রাঙ্গা) বোধহয় অনেক পেছনে পড়ে আছেন। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিয়েছি। অনেক আগে থেকেই মাদকব্যবসায়ী, মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। মাদক নিজেকে ধ্বংস করে, দেশেরও ক্ষতি করে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সবাইকে সচেতন করছি, যাতে তারা মাদক থেকে দূরে থাকে।

বিএনপির  সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে জনবলের সমস্যা সব জায়গায় আছে, এটা আমরা জানি। এ সমস্যা সমাধানে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেবো। প্রটোকল নিয়ে চলতে হয়, কিন্তু শহর ও দেশের অবস্থা জানি না এটা ঠিক না। আমি সবদিকেই খেয়াল রেখে চলি। যখন কাজ করি তখন বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকেই কেন সব কাজ করতে হবে। এটাও আমাকে শুনতে হয়। যুব সমাজ যাতে সুষ্ঠু জীবনযাপন করতে পারে। সেজন্য আমরা মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে শিক্ষিত যুবকদের হাতে মাদক তুলে দিয়েছিলো। ভালো রেজাল্টকারী ছাত্রের এক হাতে মাদক আরেক হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিলো।

জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট স্বাধীনতার পরপরই দেওয়া হয়েছে। ৯৬ সালে আমি যখন ক্ষমতায় আসি আমার নিজের হাতে স্বাক্ষর করা ৭০ হাজার সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম। পরে বিএনপি এসে সেটা বাতিল করে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সম্মাননা, ভাতা দিচ্ছি। এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা পরিচয় দিতে ভয় পেতো। এখন তারা স্বীকৃতি পাচ্ছে। তাদের সামাজিক সম্মান আছে। এটাই তো বড় পদক। এরপর আর পদক দেওয়ার কি আছে, আমি বুঝতে পারছি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এসকে/এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।