বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় তিনি এ কথা জানান।
জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্পিকার সভাপতিত্ব করেন।
তিনি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মপরিকল্পনা অবহিত করেন। বর্ষব্যাপী মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানমালার অনুষ্ঠান সূচিও হস্তান্তর করেন।
বুধবার জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ পৃথক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বিশেষ অধিবেশন অন্যতম।
‘আগামী ২২ থেকে ২৩ মার্চ এই বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে। একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বকে বিশেষ অধিবেশনে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এছাড়া বিশেষ অধিবেশনে দক্ষিণ এশিয়ার সব স্পিকারসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। ’
মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ১৯ মার্চ শিশুমেলা আয়োজন করা হচ্ছে। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংসদের বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনার শুভ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
‘এছাড়া জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন স্থাপন এবং ১ থেকে ৫ ডিসেম্বর মুজিবমঞ্চ স্থাপন করা হবে। মুজিবমঞ্চের পাশেই আয়োজন করা হবে আবার বিজয়মেলা। ’
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় সংসদের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এসকে/টিএ