বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রী কমিটিতে এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সভা শেষে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কেবিনেট ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম।
মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম জানান, এ প্রকল্পের আওতায় ৩২টি কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৬০ হাজার রোহিঙ্গা তরুণ-তরুণীকে কমিউনিটি সেবা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্পের ভেতরে ৩ লাখ চারাগাছ লাগানো ও সংরক্ষণের কাজেও লাগানো হবে। সেবাকাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে কমিউনিটি ওয়ার্ক ফেয়ার কার্যক্রমের মাধ্যমেও বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২.৪ কিলোমিটার পায়ে চলার পথ ও বাঁশের সাকো নির্মাণ, পুনর্বাসন, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে লাগানো হবে। এছাড়া ক্যাম্পের ভূমিক্ষয় রোধে ৯০ হেক্টর জমিতে দেশি প্রজাতির ঘাস রোপণ ও সংরক্ষণের কাজেও তাদের যুক্ত করা হবে। এসব কাজে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা করে মজুরি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমআইএস/এইচজে