এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ রুটে চলাচল করা ট্রাকচালক, যাত্রী ও শ্রমিকরা। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না তারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ভোলা অংশে শতাধিক ও লক্ষ্মীপুর অংশে দেড় শতাধিক যানবাহন পারপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া সময় যত যাচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে যানবাহনের লাইন।
নদীতে ডুবোচর, অপরিকল্পিতভাবে জাল ফেলা ও ফেরি স্বল্পতার কারণে ঘাটের এমন জট বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। তবে হঠাৎ করেই তুলনায়মূলক পরিবহনের সংখ্যা বাড়ার কারণে এ জটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন ফেরি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট। দেশের দীর্ঘতম এ রুটে কৃষাণী, কলমিলতা, কস্তুরি ও কনকচাপা নামের চারটি ফেরি চলাচল করছিল। কিন্তু তিনদিন আগে কনকচাপা নামের একটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সচল তিনটি ফেরি দৈনিক ছয় বার যাতায়াত করছে। এতে দৈনিক পারাপার হচ্ছে ১২০টি ট্রাক ও সাতটি বাস। কিন্তু ফেরি সংকটে কারণে দিন দিন বাড়ছে যানবাহনের জট।
ঘাটে অপক্ষেমান ট্রাকচালক বাচ্ছু বাংলানিউজকে বলেন, ভোলা থেকে মাল নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চারদিন ধরে ঘাটে বসে থাকলেও এখনো ফেরির দেখা পাইনি।
কিশোরগঞ্জের যাওয়ার জন্য পাঁচদিন ধরে ঘাটে অপেক্ষমান কবির, কুমিল্লার উদ্দেশ্যে চারদিন ধরে আবুল হোসেন ও চট্টগ্রামের যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে সাতদিন ধরে বসে আছে সোলাইমান। তাদের অভিযোগ, ফেরি একবার করে ট্রিপ দেয়। এতে পারাপার হতে পারছেন না। দিনের পর দিন পরে থাকলেও ফেরির দেখা মিলছে না।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে চলাচল করা কলমিলতা ফেরির মাস্টার সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নদীর দুই পয়েন্টে ডুবোচর, অন্যদিকে জাল ফেলার কারণে সমস্যা হচ্ছে অনেক।
ফলে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে চলাচল করতে মারাত্মক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ভাটার সময় অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। আগে যেখানে যেতে সময় লাগতো তিন ঘণ্টা, সেখানে এখন লাগছে পাঁচ ঘণ্টা। এতে করে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ঘাটের ইনচার্জ এমরান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একটি ফেরি বিকল থাকায় যানবাহনের জট কিছুটা বাড়ছে। তবে জট কমাতে ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসআরএস