ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষিণাঞ্চলে হবে শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
দক্ষিণাঞ্চলে হবে শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের হাব হিসেবে গড়ে তোলাসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। আর এর নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পর্যটনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের এ দিনের অধিবেশন শুরু হয়।

মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জুলাই-২০১৫ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য এ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিলের আওতায় ১৩ হাজার ৬৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোয়েই কো লিমিটেড কাজ করছে।

২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর কাজ শুরু করে। এরপর প্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দুটি, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরসহ ৩০টি সাইটের সার্ভে শেষ করে। একপর্যায়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাইট সিলেকশনের জন্য ১০টি স্থানের তালিকা প্রস্তুত করে।

১০টি স্থানের সম্ভাব্যতা সার্ভে শেষে সাইট সিলেকশনের জন্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি স্থানের সুবিধা-অসুবিধাসহ বিভিন্ন তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া তিনটি স্থান থেকে পরবর্তীকালে দুইটি স্থানের সুবিধা-অসুবিধাসহ নানা তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে আবারও উপস্থাপন করা হয়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সরকারি সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে এ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য স্থান চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করবে।

এছাড়া আকাশপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মোংলা ইপিজেড ও মোংলা ইকোনোমিক জোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ‘খানজাহান আলী বিমানবন্দর’ নামে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের নানা প্রক্রিয়া শেষে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসকে/এসই/টি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।