তিনি বলেন, প্রথম পদ্মাসেতু নির্মাণের পর নদীর প্রতিক্রিয়া দেখে দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর বিষয়ে পরিকল্পনা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে সরকারিদল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর উত্থাপিত সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেওয়ার সময় সেতুমন্ত্রী প্রসঙ্গক্রমে একথা বলেন।
ওই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের সঙ্গে সংশোধনী প্রস্তাব দেন বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি। সেখানে তিনি তিস্তা নদীতে কয়েকটি ব্রিজ করার প্রস্তাব করেন। এর উত্তরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, তিস্তা নদীর ওপর তিস্তা ব্রিজ হয়েছে। আরও ব্রিজ আছে, খুব বেশি ব্রিজ যদি করতে যাই, অতিরিক্ত ব্রিজ করলে নদীর সিলট্রেশন নষ্ট হয়ে যায়।
‘যোগাযোগের জন্য ব্রিজের দরকার কিন্তু ব্রিজ করতে গিয়ে যদি নদীর নাব্যতা নিঃশেষ হয়ে যায় তাহলে ভালো হবে না, শুভ ফল বয়ে আনবে না। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীর নাব্যতার জন্য ড্রেজিং করা হচ্ছে নদী রক্ষা করার জন্য। সেখানে অতিরিক্ত ব্রিজের কারণে যেন নাব্যতা নষ্ট না হয় সে বিষয়ও দেখতে হবে। ’
এসময় ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর প্রসঙ্গে বলেন, যে কারণে প্রথম পদ্মাসেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের কথা ভাবছি না। সেটা আমাদের মাথায় আছে। প্রথম পদ্মাসেতু মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে হচ্ছে। এটা শেষ হলে বুঝতে পারব পদ্মানদীর প্রতিক্রিয়া, নদী কী রূপ ধারণ করছে। তার ওপর নির্ভর করবে পরবর্তী পদ্মাসেতু নির্মাণে হাত দেবো কিনা?
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসকে/এসই/এএ